মজন্তালী সরকার

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এক গ্রামে দুটো বিড়াল ছিল। তার একটা থাকত গোয়ালাদের বাড়িতে, সে খেত দই, দুধ, ছানা, মাখন আর সর। আর একটা থাকত জেলেদের বাড়িতে, সে খেত খালি ঠেঙার বাড়ি আর লাথি। গোয়ালাদের বিড়ালটা খুব মোটা ছিল, আর সে বুক ফুলিয়ে চলত। জেলেদের বিড়ালটার গায় খালি চামড়া আর হাড় কখানি ছিল। সে চলতে গেলে টলত…

বিস্তারিত

শহুরে ইঁদুর ও গেঁয়ো ইঁদুর

উপেন্দ্রনাথ দাস এক শহুরে ইঁদুরের সঙ্গে এক গেঁয়ো ইঁদুরের বন্ধুত্ব ছিল। একদিন গেঁয়ো ইঁদুর ভাবলে, ‘অনেক দিন আমার বন্ধুকে দেখি নি। একবার তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মন্দ হয় না।’ আবার ভাবলে, ‘কিন্তু আমি তো শহরের পথঘাট চিনি নে। যাই বা কী ক’রে। তার চেয়ে বরং এক কাজ করা যাক। তাকেই এখানে আসতে চিঠি লিখে…

বিস্তারিত

টুনটুনি আর বিড়ালের গল্প

টুনটুনি আর বিড়ালের গল্প
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুন গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে।

বাসার ভিতরে তিনটি ছোট্ট-ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে আর চি চি করে।

গৃহস্থের বিড়ালটি ভারি দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বললে, ‘কী করছিস লা টুনটুনি?’

টুনটুনি তার মাথা হেঁট করে বেগুন গাছের ডালে ঠেকিয়ে বললে, ‘প্রণাম হই, মহারানী!’

তাতে বিড়ালনী ভারি খুশি হয়ে চলে গেল।

এমনি সে রোজ আসে, রোজ টুনটুনি তাকে প্রণাম করে আর মহারানী বলে, আর সে খুশি হয়ে চলে যায়।

এখন টুনটুনির ছানাগুলি বড় হয়েছে, তাদের সুন্দর পাখা হয়েছে। তারা আর চোখ বুজে থাকে না। তা দেখে টুনটুনি তাদের বললে, ‘বাছা, তোরা উড়তে পারবি?’ ছানারা বললে, ‘হ্যাঁ মা, পারব।’

টুনটুনি বললে, ‘তবে দেখ তো দেখি, ঐ তাল গাছটার ডালে গিয়ে বসতে পারিস কিনা।’

ছানারা তখনই উড়ে গিয়ে তাল গাছের ডালে বসল। তা দেখে টুনটুনি হেসে বললে,
‘এখন দুষ্ট বিড়াল আসুক দেখি!’

খানিক বাদেই বিড়াল এসে বললে, ‘কী করছিস লা টুনটুনি?’

তখন টুনটুনি পা উঠিয়ে তাকে লাথি দেখিয়ে বললে, ‘দূর হ, লক্ষ্মীছাড়ী বিড়ালনী!’

বলেই সে ফুড়ক করে উড়ে পালাল।

দুষ্টু বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে টুনটুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পেল না। খালি বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হয়ে ঘরে ফিরল।

বিস্তারিত